ডিজিটাল মার্কেটিং কী ? ডিজিটাল মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে
Digital MARKETING KI- আসুন জানার চেষ্টা করি

আগের দিন শুনি আরিফ অনলাইন থেকে ১১০ টাকা দিয়ে একটা লাল ইমুজি দেয়া T-shart কিনছে | আগে কখন আমি অনলাইন থেকে কিছু কেনাকাটা করি নাই,বন্ধুদের মুখ থেকে শোনা অনলাইনে নাকি কম দামে অনেক জিনিস পাওয়া যাই , আমার মনেও ইচ্ছা জাগল,একটা manstarcity jersey কিনব
তো আমি প্রথমে Google সার্চ করি সেখানে অনেক site দেখয়,৪/৫ ঘাঁটাঘাঁটি করি দাম ঠিকঠাক আছে নেয়ার মত,আমি ভাবি পরে নিব,তাই বের হয়ে যাই
পরে ফেসবুকে ঢুকে দেখি অনেকে jersey অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে , প্রথমে খেয়াল করালাম না
পরে Instagram,Youtube চালাতে গিয়ে দেখি আবার আমকে সেই বিভিন্ন ধরনের jersey অ্যাড দেখাচ্ছে। আমি যেহেতু কিনতে চাচ্ছি সেহেতু সব ব্রান্ড এর জিনিস দেখে একটা ধারণা হল
আশেপাশে অনেক এর সাথেই এমন তাই হয়েছে কি তাই তো ?
এখানে আসলে হচ্ছে কি ?
এর পিছনে লুকিয়ে আছে ডিজিটাল মার্কেটিং !
আসুন বুঝার চেষ্টা করি……।
বড় বড় ডিজিটাল মার্কেটার বিভিন্ন Research,Tool দিয়ে আপনাকে টার্গেট করে আপনার সামনে ওই বিজ্ঞাপন গুল আনছে। এটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা অংশ
ডিজিটাল মার্কেটিং কী
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার ও বিক্রির আধুনিক কৌশল, যা কোন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান প্রচার বাড়ায় এবং বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ও ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে সঠিক মানুষদের কাছে Right Time-এ Right Message পৌঁছে দেওয়ার একটি কৌশল
সহজে বলতে গেলে,
“ডিজিটাল মার্কেটিং মানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিজনেসের মার্কেটিং করা”
আপনার পছন্দের জিনিস আপনার সামনে ফেসবুক অ্যাড, গুগল সার্চ, ই-মেইল বা ভিডিওর মতো টুলস ব্যবহার করে আপনার সামনে এনে সেই কোম্পানি বা সেই প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং করা, সম্ভাব্য গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা হয় এবং তাদের ক্রেতায় পরিণত করা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে?
গ্রাহকের পছন্দের পণ তার সামনে নিয়ে যায় এবং তাদের ব্রান্ড এর প্রমোশন করে বা বিক্রি করার চেষ্টা করে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঠিক গ্রাহকদের কাছে সঠিক সময়ে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার একটি কৌশল।এটি বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি ও টুলের মাধ্যমে কাজ করে
মনের ভাষা দিয়ে বুঝার চেষ্টা করি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ
ধরা যাক আপনি একটি অনলাইন T-shart মার্কেটিং করবেন:
টার্গেট: পুরুষ মানুষ যাদের বয়স ১২-৪০ ।
প্ল্যাটফর্ম: ফেসবুক +ইন্সটাগ্রাম+ গুগল অ্যাডস ।
কন্টেন্ট: T-shart যে সব ভাল ডিজাইন আছে তার একটা ভিডিও বানালেন / / কিংবা কিছু ভাল ভাল ছবি দিলেন
প্রচার:আপনার পণ্য ঘরে বসে সর্বনিম্ন রেটে দেশজুড়ে বিক্রি করবেন
কিংবা একটা কিনলে একটা ফ্রি ।
ফলাফল কতজন ট্র্যাকিং অর্ডার দিল,
কোন অ্যাড বেশি কাজ করে
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রধান উপাদানসমূহ
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন SEO
গুগল কোন কিছু সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইড গুগলের প্রথম পেজে আসবে . অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার সাইট র্যাংক করানো এবং সবার সামনে আনার যে প্রকিরিয়া তাই SEO
SEO সাধারণত তিনটি ধাপে কাজ করে:
On-page SEO: ওয়েবসাইটের ভেতরের কনটেন্ট, কি-ওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন, ট্যাগ ইত্যাদি ঠিক করা।
Off-page SEO: ব্যাকলিংক তৈরি, গেস্ট ব্লগিং ইত্যাদি করা।
Technical SEO: ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড, মোবাইল ফ্রেন্ডলি করা, স্কিমা মার্কআপ ইত্যাদি অপ্টিমাইজ করা।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
বর্তমান সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোন ব্রান্ড সবার সামনে আনতে গেলে এখন মার্কেটারসোশ্যাল মিডিয়া সব থেকে বেশি ব্যবহার করছ। যেমফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন, টিকটক ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মার্কেটিং করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দ্রুত ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়ানো যায়।
পেইড অ্যাডভার্টাইজিং PPC
আপনার কোন প্রোডাক্ট যদি খুব তাড়াতাড়ি সামনে আনতে চান,কিনবা আপনি চাচ্ছে যে আপনার প্রোডাক্ট এর মার্কেট দ্রুত প্রসার হক সবাই আপনার প্রোডাক্ট বিষয়ে জানবে এবং দ্রুত সেলস আসুক ,সে ক্ষেত্রে আপনার পাইড প্রমোশন করতে হবে। Google Ads, Facebook Ads ইত্যাদির মাধ্যমে নির্দিষ্ট অডিয়েন্সকে টার্গেট করে বা আপনার প্রোডাক্ট কারা পছন্দ করবে সেই ভাবে তাদের কাছে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। যদি সঠিক ভাবে করা হয় তাহলে এই পদ্ধতিতে ব্যবসা দ্রুত বিক্রয় বাড়াতে পারে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিং বলতে আপনার প্রোডাক্ট এর ব্লগ, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক, ই-বুক ইত্যাদি কনটেন্ট তৈরি করে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করা হয়। কাস্টমারদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার যাতে তারা আপনার প্রোডাক্ট চোখ বন্ধ করে নিতে পারে কিনবা আপনার ব্রান্ড এর প্রতি একটা আস্থা তৈরি করে।
ভালো কনটেন্ট ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা তৈরি করে।
ই-মেইল মার্কেটিং
যারা আপনার ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট পছন্দ করার মত আছে তাদের ইমেইলের মাধ্যমে আপনার ব্রান্ড বা প্রোডাক্ট এর সম্পর্কে জানানো এবং যোগাযোগ রাখা, নতুন অফার ও আপডেট পাঠানো ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অন্যদের পণ্য বা সেবা প্রোমোট করে কমিশনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। যেমন অনেক কোম্পানি আছে তাদের প্রোডাক্ট আপনি নিজের ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে তাদের প্রোডাক্ট সেল দিয়ে দিলে তার থেকে একটা কমিশন দিবে আপনাকে আরও সহজে বলতে গেলে
ধরেন রাজুর একটা জুতার দোকান আছে । একটা ভাল মানের জুতা যার দাম ১৫০০ টাকা দেওয়া আছে । সে আপনাকে বলছে ওর ঐ জুতা আমি যদি ১৫০০ টাকা বিক্রি করে দিতে পারি তাহলে সে আপনাকে ১০০ টাকা দেবে । আপনি ঐ জুতা টা বিক্রি করে দিলেন এবং আপনাকে সে ১০০ টাকা দিল টিক একই ভাবে অনলাইন এ বড় বড় কোম্পানি জারা তাদের প্রোডাক্ট এই ভাবে সেল করে থাকে
ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করার ধাপসমূহ
১. টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ
১.১ প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে কাদের কাছে পৌঁছাতে চান
১.২ বয়স, লিঙ্গ, অবস্থান, আগ্রহ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করা
উদাহরণ: আপনি যদি ফিটনেস প্রোডাক্ট বিক্রি করেন, তবে টার্গেট হতে পারে ১৮-৩৫ বছর বয়সী ফিটনেসপ্রেমীরা।
২. প্ল্যাটফর্ম বাছাই করা
২. প্ল্যাটফর্ম বাছাই করা ।
২.২সোশ্যাল মিডিয়া ।
২.৩ই-মেইল মার্কেটিং।
২.৪ গুগল ও ইউটিউব।
উদাহরণ: আপনি যেখানে কাজ করতে পছন্দ করবেন সেখানে করবেন ।
৩. কনটেন্ট তৈরি করা
.৩.১ ভিডিও মার্কেটিং – ইউটিউব, ফেসবুক বা টিকটকে ভিডিওর মাধ্যমে প্রোমোশন করা।
৩.২ সার্চ করলে টপ রেজাল্টে আসার জন্য পেইড বিজ্ঞাপন চালানো।
৩.৩ পেইড অ্যাড (ফেসবুক/গুগল অ্যাডস) দিয়ে কন্টেন্ট প্রচার।
৩.৪ ই-মেইল কনটেন্ট – সাবস্ক্রাইবারদের কাছে অফার বা আপডেট পাঠানো।
উদাহরণ: ধরেন আপনি একটা হেডফন এর বিজ্ঞাপন দিবেন সেখানে কিছু ছবি দিয়ে টার্গেট অডিয়েন্স সামনে নিলেন।
.৪. ট্র্যাফিক ও এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করা
৪.১ গুগলে ওয়েবসাইটকে র্যাংক করানো।
৪.২ ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো।
৪.৩ ছোট ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ব্যবহার করা।
৪.৪জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে ব্র্যান্ড প্রচার করা।
উদাহরণ: জনপ্রিয় কাউকে দিয়ে আপনার প্রোডাক্ট এর ব্র্যান্ড প্রোমোট করাতে পারেন ।
৫. কাস্টমার কনভার্সন
৫.১ ওয়েবসাইটকে সহজ ও আকর্ষণীয় করা, যাতে মানুষ কেনাকাটা করে। বা আপনার প্রোডাক্ট সবায় পছন্দ করে ।
৫.২ আগ্রহী গ্রাহকদের সঙ্গে ইমেইলে যোগাযোগ রাখা।
৬. রেজাল্ট বিশ্লেষণ ও অপ্টিমাইজেশন
৬.১ ভিজিটরকে ক্রেতায় রূপান্তর করা।
৬.২ ডেটা বিশ্লেষণ করে ক্যাম্পেইন উন্নত করা।
৬.৩ গুগল অ্যানালিটিক্স, ফেসবুক পিক্সেল ব্যবহার।
ডিজিটাল মার্কেটিং কীভাবে শুরু করবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং মৌলিক ধারণা অর্জন
লক্ষ্য নির্ধারণ আগে দরকার ।
আপনি কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ তা আগে বুঝুন।
বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন:যেমন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)।
কন্টেন্ট মার্কেটিং।
ই-মেইল মার্কেটিং।
পেপার ক্লিক মার্কেটিং (PPC)।
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শিখুন
SEO, Facebook Ads, Google Ads, Content Marketing ইত্যাদি শেখার অনেক ফ্রী মাধ্যম আছে সে গুলিতে শিখতে পারেন ।
তার জন্য ইউটিউব আছে অনেক ওয়েবসাইট আছে,ভাল ভাল জায়গা থাকে কোর্স করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া: Facebook,
গ্রাফিক ডিজাইন: Canva, Adobe Photoshope (বেসিক)।
ই-মেইল মার্কেটিং: Mailchim .
নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন – কোন বিষয় গুলি মানুষ জানতে চাচ্ছে তার উপর ব্লগ তৈরি করুন এবং কীভাবে সেখানে টার্গেট করেো মানুষ নিয়ে আসবেন এবং ।কাজের নমুনা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকটিভ থাকুন
-facebook, Instagram, LinkedIn-এ নিজের মার্কেটিং স্কিল শেয়ার করুন।
একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করুন।
ক্যানভা দিয়ে একটি পোস্ট ডিজাইন করুন।
গুগল অ্যানালিটিকস সেটআপ করুন।
একটি ব্লগ পোস্ট লিখুন।
LinkedIn প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন।
Fiverr এ প্রোফাইল তৈরি করুন।
ছোট কাজ নিয়ে অনুশীলন করুন
নিজের একটি ফেসবুক পেজ বা ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
ব্লগ লেখা শুরু করুন। খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে থাকুন ।
নতুন আপডেট ও ট্রেন্ড সম্পর্কে জানুন-
যে সব নতুন নতুন জিনিস গুল বাজারে আসছে তার সম্পর্কে জানুন ডিজিটাল মার্কেটিং ব্লগ পড়ুন ইন্ডাস্ট্রি লিডারদের ফলো করুন নতুন ট্রেন্ডস এবং টুলস শিখুন ।
প্র্যাকটিকাল অভিজ্ঞতা অর্জন
ক্যানভা ব্যবহার করে গ্রাফিক ডিজাইন শিখুন ।
গুগল অ্যানালিটিকস ইনস্টল করে ডেটা বিশ্লেষণ শিখুন ।
ডিজিটাল মার্কেটিংএ বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন ।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ছোট কাজ নিন (Fiverr, Upwork)।
লোকাল বিজনেসের জন্য বিনামূল্যে কাজ করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিতে ইন্টার্নশিপ করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং ব্লগ পড়ুন।
ডিজিটাল মার্কেটিংসফলতার টিপস:
কোন কিছুর জন্য চাই কঠিন পরিশ্রম। পরিশ্রম না করতে পারলে কখন সফল হওয়া যায় না তাই ধৈর্য ধরুন – রাতারাতি সাফল্য আসে না তাই কাজ করতে থাকুন । প্রতিদিন নতুন কিছু না কিছু শিখতেই থাকুন – ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত পরিবর্তন হয় । ভুল থেকে শিখুন – শেখা অবস্থা ভুল যাওয়া স্বাভাবিক প্রতিটি ভুল আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে। প্রথম ইনকাম শুরু করুনফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তা করুন ।
নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করু।
Digital MaRKETING KI